Skip to main content

Posts

কন্যা সন্তান হওয়ায় ছাদ থেকে ফেলে দিলেন দাদি

প্রতীকী ছবি। নবজাতক নাতনীকে হত্যার দায়ে দাদি পরমেশ্বরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ছেলের কন্যা সন্তান হওয়ায় ৭ দিনের নবজাতককে ছাদ থেকে হত্যা করার দায়ে পরমেশ্বরী দেবী নামে এক বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। গত শুক্রবার (নভেম্বর) রাতে ব্যাঙ্গালুরুর মেদারাল্লি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া'র একটি খবরে বলা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ব্যাঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তামিলসেলভি নামের এক নারী। কিন্তু ছেলে সন্তান না হওয়ায় অসন্তুষ্ট হন তার শাশুড়ি। শুক্রবার রাতে ওই নবজাতককে শাশুড়ির জিম্মায় রেখে বাথরুমে যান তামিলসেলভি। কিন্তু ফিরে দেখেন তার মেয়ে কোথাও নেই। এ ব্যাপারে শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কয়েকজন লোক তাদের বাসায় ঢুকে শিশুটিকে জোর করে নিয়ে গেছে। শাশুড়ির কথায় সন্দেহ হয় গৃহবধূর। মেয়েকে কোথাও না পেয়ে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তল্লাশি শুরু করে। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি ফাঁকা জায়গা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় শিশুটির মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন পায় পুলিশ। পরে, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নিজের নাতনীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা
Recent posts

ধর্ষণে অতিষ্ঠ হয়ে যুবককে খুন করল পুরো পরিবার

ভয়াবহ ঘটনার মুখোমুখি হলো ভারতের মধ্যপ্রদেশ। সেখানে এক তরুণের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় নিজের মা, বোন ও ভাই-বউকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বহুবার এ ঘটনা ঘটিয়েছে ছেলেটি। অবশেষে সহ্য করতে না পেরে মদ্যপ ছেলেকে খুন করেছে তার পরিবার। এই অভিযোগে পরিবারের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দাতিয়াতে। এ বিষয়ে পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার গীতা ভরদ্বাজ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের সদস্যরা তাদের ছেলেকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। ছেলেটির বয়স ২৪ বছর। ১২ নভেম্বর গোপালদাস পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হয় সেই ছেলেটির মরদেহ। গীতা ভরদ্বাজ জানান, ছেলেটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। সে মদ্যপ ছিল। তাকে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জন্মেছিল পরিবারের মধ্যে। তিনি বলেন,নিয়মিত নিজের মা,বোন ও বউদিকে ধর্ষণ করত ছেলেটি- এমনই বলছে পরিবার। তাই তারা তাকে একেবারেই মেরে ফেলার মতো নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত নেয়। ছেলের বাবা জানিয়েছেন,১১ নভেম্বর তার ছেলে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে তার ভাইয়ের বউকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তিনি বলেন,এর আগেও বহুবার সে এমন করেছে। তাই এবার আমরা ওকে মেরে ফেলি। আর ওর মরদেহ ফেলে দিই গোপা

বাবার কাছে রাতভর ধর্ষিত ১৩ বছরের মেয়ে!

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে নিজের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট বাবা। গত ১৯ এপ্রিল ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরগাঁও জেলার গুরুগ্রামের ডিএলএফ-থ্রিতে এই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, পেশায় গাড়ির চালক ৩৯ বছরের ওই ব্যক্তি বাড়ি ফিরেছিলেন মদ্যপান করে। তাঁর স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করেন, এলাকায় মদ্য পান করে বাড়ি ফেরা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই গণ্ডগোল লেগে থাকত স্ত্রীর। সেদিন বিবাদ চরমে ওঠে। রাগের বশে কাচের বোতল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন স্বামী। আঘাত নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। বাড়িতে মেয়ে একাই ছিল। পরের দিন বাড়ি ফেরার পর মেয়ে জানায় রাতে বাবা তাকে ধর্ষণ করেছে। এই নিয়ে ফের স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা। পুলিশকে কিশোরীর মা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার ফোন করে তাঁর স্বামী রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেছে, কাউকে জানালে আমার মেয়ের উপর অত্যাচার করবে সে। তারপরেই থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন তিনি। মেয়ের বয়ান নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। এদিকে মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছ

‘নিম্নবর্ণে’ প্রেম, ভারতে বাবার হাতে কলেজছাত্রী খুন

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে কথিত ‘নিম্নবর্ণ’র সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোয় বৈষ্ণবী নামে এক কলেজছাত্রীকে হত্যা করেছেন তার বাবাই। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ২০ বছর বয়সী বৈষ্ণবীর ঘর থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা। ভেঙ্কা রেডি নামে মেয়েটির বাবাকে ইতোমধ্যে আটক কর‍া হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ভেঙ্কা রেডি। এ বিষয়ে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা শ্রীনিবাস রাও বলেন, মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আগে থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রেডি। তিনি সন্দেহ করছিলেন তার মেয়ে সেই সহপাঠীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাই রাগের মাথায় মারধরের একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। আমরা সন্দেহজনক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছি। ময়নাতদন্তের পরে এটি হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হতে পারে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষ্ণবী প্রায়ই কথিত ‘নিম্নবর্ণ’র ওই সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। বাবা তাকে প্রায়ই নিষেধ করলেও বৈষ্ণবী তা মানতেন না। [ইনকিলাব : ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯]

১৩ বছরের মেয়েকে সাত লাখে বিক্রি বাবার! উদ্ধার নাবালিকা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা

নাবালিকা মেয়েকে সাত লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলেন বাবা! ফেঁদেছিলেন অপহরণের নাটকও। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।  মাস পাঁচেক পর সেই মেয়েই যখন উদ্ধার হল, তখন ১৩ বছরের কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।  রাজস্থানে র বারমেঢ় জেলার এই ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় নানা মহলে। ঘটনায় কিশোরীর বাবা, ক্রেতা সানওয়ালা রাম দাসপা ও দালাল গোপা রাম মালিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।  হায়দরাবাদে  ওই কিশোরীকে উদ্ধারের সময় গ্রেফতার হয়েছে সানওয়ালার ছেলে। তরুণীকে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। বারমেঢ়ের সিওয়ান থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত ওই কিশোরীর কাকার তৎপরতাতেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কারণ তিনিই প্রথম সন্দেহ করে থানায় এফআইআর দায়ের করেন। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই কিশোরীর বাবা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও কিশোরীকে পুলিশ খুঁজে না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন কিশোরীর কাকা। আদালতের নির্দেশেই শেষ পর্যন্ত কিশোরীকে উদ্ধারে তৎপর হয় পুলিশ। ঘটনা ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন স্থানীয় গোপা রাম মালি নামে এক ব্যক্তি কিশোরীর বাবার কাছে সম্ভ্রান্ত পরিবারে কিশোরীর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। গোপার

সাত বছর ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ বাবার

স্কুলে গিয়ে বরাবরই চুপচাপ থাকত বছর বারোর মেয়েটি। শিক্ষিকাদের মনে হয়, মেয়েটি মানসিক অবসাদে ভুগছে। বেশ কয়েক দিন কাউন্সেলিং-এর পরেই প্রকাশ্যে আসে আসল সত্যি। মেয়েটি জানায়, তার বাবা প্রতিদিন তাকে যৌন নির্যাতন করে। মেয়েটির কাউন্সেলিং-এর দায়িত্বে থাকা প্রতিভা দীপক মহেশ্বরী গত সোমবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। মেয়েটির বাবার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ঘটনাটি (কলকাতার) গুরুগ্রামের।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান। তারা উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা। বর্তমানে মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য কাউন্সেলর মহেশ্বরী তাকে জয়পুর নিয়ে গিয়েছেন। মহেশ্বরী জয়পুরের বাসিন্দা হলেও হরিয়ানায় তাঁর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার কথা হরিয়ানার শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং জয়পুরের চাইল্ড লাইনকে জানানো হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের করেছে জয়পুর পুলিশ। এই মামলা জয়পুর থেকে হরিয়ানায় স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করছেন চাইল্ড লাইনের সদস্যেরা। মহেশ্বরীর কথায়: ‘‘ঘটনার কথা জেনে আমি হতভম্ব। পাঁচ বছর বয়স থেকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে তার বাবা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি

টয়লেটকে মন্দির ভেবে একবছর ধরে প্রণাম করছে পুরো গ্রাম

ভারতে একটি টয়লেটের রং গেরুয়া বলে তাকে মন্দির ভেবে একবছর ধরে প্রণাম করে আসছে একটি পুরো গ্রামের লোকজন। একবছর পর জানা গেছে, ওটা আসলে মন্দির ছিল না, ছিল টয়লেট।ভা রতের উত্তরপ্রদেশের মৌদহ গ্রাম এই ঘটনা ঘটেছে। ওই গ্রামে রাস্তার ধারে একটি ঘর রয়েছে। যার বাইরের দেয়ালের রং গেরুয়া। দীর্ঘদিন ধরে ওই ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, রং যখন গেরুয়া, তখন দেয়ালের ওপারে নিশ্চয়ই কোনো দেবতার বসবাস আছে! তাই বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে প্রণাম করেন তারা। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে প্রার্থনাও করেন! তাও এক দুই দিন নয়, পুরো এক বছর! ওই গ্রামের বাসিন্দা রাকেশ চান্দেলের ভাষ্য, ‘এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছেই অবস্থিত এই ঘরটি। দেয়ালে গেরুয়া রং তো বটেই, ঘরের ওপরের অংশটিও দেখতে মন্দিরের মতোই। তাই বাসিন্দারা ধরেই নিয়েছেন, এটি মন্দির। ভিতরে কী আছে, জানার চেষ্টা করিনি আমরা। সম্প্রতি এক অফিসার এসে বলেন, এটি আসলে একটি টয়লেট।’ জানা গেছে, বছরখানেক আগে ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের অংশ হিসেবে এই গ্রামে তৈরি হয়েছিল টয়লেটটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেটি বন্ধ। মৌদহ নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান রাম কিশোর বলেন, ‘নগর পালিকা পরিষদ এই টয়ল